শেষ কর্মদিবসের অপেক্ষায় গাবতলীর পশুর হাট, চাহিদা বেশি মাঝারি গরুর

দেশের ঐতিহ্যবাহী গবাদি পশুর হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম রাজধানীর গাবতলী গরুর হাট। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে ঢাকা সিটির সবচেয়ে বড় এই গরুর হাটটি। দেশের প্রায় সব জেলা থেকেই গরু, ছাগল ও মহিষের মেলা বসেছে এই হাটে।
আজ মঙ্গলবার (৩ মে) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি দেশি-বিদেশি গরু-ছাগল সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। পুরো হাট চষে বেড়াচ্ছেন কয়েকশ ভলান্টিয়ার। নিরাপত্তার কাজে তৎপর পুলিশ-র্যাবের সদস্যরাও। হাটে ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল এক তোরণ। কোরবানির পশু আনা-নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ট্রাক-পিকআপ।
বিভিন্ন দামের ভিন্ন ভিন্ন সাইজের শত শত গরু। হাটে প্রায় সব বয়সী দর্শনার্থী ও ক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে এই সময়ে ক্রেতাদের থেকেও দর্শনার্থী বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
কুষ্টিয়া থেকে আগত রবিউল ইসলাম বলেন, আমি আটটি গরু নিয়ে এসেছি। যার প্রতিটির সর্বনিম্ন দাম দুই লাখ আর সর্বোচ্চ আট লাখ। গত দুই দিনে কোনো ক্রেতা পাইনি। অনেকেই এসে ছবি তুলেন, দাম জিজ্ঞেস করে চলে যান। আশা করি দু-এক দিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাবে।
গাবতলী গরুর হাটের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বে থাকা রাজীব আহমেদ বলেন, গতকালের তুলনায় আজকে ক্রেতার উপস্থিতি ভালোই। বিকেলের দিকে আরও ভালো ক্রেতা পাওয়া যাবে। তবে আগামীকাল বুধবার বিকেল থেকে বেচাকেনা বাড়বে। কারণ বুধবার শেষ ওয়ার্কিং ডে। তার পরই চাকরীজীবীরা আসা শুরু করবেন।
রাজীব আহমেদ আরও বলেন, বাজারে বিভিন্ন সাইজের গরু আছে। ছোট, বড়, মাঝারি। তবে মানুষের মাঝারি সাইজের গরুর প্রতি আগ্রহ বেশি। এক থেকে তিন লাখের মধ্যে গরুর চাহিদা বেশি।
হাটে যত কোরবানির পশু উঠেছে সবই বিক্রি হয়ে যাবে এমনটা আশা করে রাজীব আহমেদ বলেন, আমাদের হাট ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে। প্রতিবছর চাঁদ রাতেই অর্ধেক ফাঁকা হয়ে যায়।

এবার গাবতলী গরুর হাটের ইজারা পেয়েছে এরফান ট্রেডার্স, যার পরিচালনায় আছেন সৈয়দ এ সিদ্দিকী জানিয়ে রাজিব বলেন, আমাদের প্রায় এক হাজারের মতো ভলান্টিয়ার কাজ করছেন। তিনটা শিফট করা আছে। এ ছাড়া পুলিশ-র্যাব সার্বক্ষণিক রয়েছে। বিদ্যুতেরও সমস্যা নেই। পাশাপাশি আগত পাইকার এবং বিক্রেতাদের জন্য ওয়াসরুম, গোসলের স্থান, খাবার হোটলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থেকে আগত সেলিম উদ্দিন বলেন, আমি ছেলেদের নিয়ে আজই প্রথম হাটে এসেছি। একটু ঘুরে ফিরে দেখবে। যদি দামে পছন্দ হয় নিব, না হয় আজ দেখে দু-এক দিনের মধ্যে নিব।

মিরপুর-২ নম্বর থেকে দাদার সঙ্গে গরুর বাজার দেখতে এসেছে আলভী। গরুর বাজার নিয়ে তার কৌতূহলের শেষ নেই। ‘আমার গরু দেখতে ভালো লাগে। আমরা গ্রামে যাব দুই দিন পর, তার আগে দাদুসহ গরু দেখতে এলাম।