স্বল্প পরিসরে চালু জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
 
রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধের দুই সপ্তাহ পর স্বল্প পরিসরে ফের চালু হয়েছে। পাশাপাশি চালু আছে জরুরি বিভাগও। তবে হাসপাতালের ইনডোর কার্যক্রম এখনো বন্ধ।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে হাসপাতালটির চিকিৎসক ও স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা হাসপাতালে এসেছেন। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। এসব নিশ্চিত করলে তারা নিয়মিতই আসবেন। তবে অধিকাংশ চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের নিরাপত্তা শঙ্কা এখনো কাটেনি।
এদিকে, স্বল্প পরিসরে সেবা চালু হলেও হাসপাতাল ভবনের চতুর্থ তলা এখনো দখলে রেখেছেন জুলাই আহতরা। তাদের কয়েকজন চতুর্থ তলার কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে ভেতরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে গত ২৮ মে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জরুরি বিভাগ ছাড়া নিয়মিত অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। যে কারণে সকাল থেকেই হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগী ও সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর চিকিৎসক ও রেজিস্ট্রার মাহফুজ আলম বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
যাদের পূর্বনির্ধারিত অস্ত্রোপচারের তারিখ ছিল, তাদের পরে ফোনে ডেকে এনে অস্ত্রোপচার করে দেবেন বলে জানান। এতেও সেবাপ্রার্থীরা নিবৃত হননি। তারা হইহুল্লোড় ও হট্টগোল করতে থাকেন। চিকিৎসক ও নার্সদের দিকে তেড়ে যান। এসময় আনসার সদস্যরা নিবৃত করতে গেলে হাতাহাতি হয়। হাসপাতালের কর্মী ও সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে মারামারিও হয়। এরপর পুরো হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ভেতরের সব ওয়ার্ডের কলাপসিবল গেট আটকে তালা দিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টি নিজেদের জন্য আতঙ্কের বা আক্রমণাত্মক হতে পারে—এমন আশঙ্কায় উল্টো তালা ভেঙে জুলাই আহতরা লাঠিসোঁটা ও রড হাতে চিকিৎসক, কর্মী ও সেবাপ্রার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করেন। তাদের সঙ্গে এসে সেই হামলায় যোগ দেন পঙ্গু হাসপাতালে থাকা জুলাই আহতরাও।
এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ ১৫ জন আহত হন। এরপর আতঙ্কে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের বেশিরভাগ দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে যান। তাদের কেউ কেউ ভেতরে আটকা পড়লে সেনাসদস্যরা গিয়ে উদ্ধার করেন। এরপরই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম। কার্যত ওইদিন থেকে পুরো হাসপাতাল জুলাই আহতদের দখলে চলে যায়।

 
                   নিজস্ব প্রতিবেদক
                                                  নিজস্ব প্রতিবেদক
               
 
 
 
