দেশের ৮ নদীর পানি সমতলে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)। শুক্রবার (২০ জুন) নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতলে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরি, গোমতী ও ফেনী নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী একদিন মাঝারি-ভারি এবং পরবর্তী দুদিন মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী একদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পরবর্তী দুদিন হ্রাস পেতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে; অপরদিকে সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ভুগাই-কংস নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী তিনদিন মাঝারি-ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী তিনদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সিলেট জেলার সারিগোয়াইন নদী, সুনামগঞ্জ জেলার যাদুকাটা নদী ও নেত্রকোনা জেলার সোমেশ্বরী নদী আগামী ৪৮ ঘণ্টা সতর্কসীমায় (বিপদসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে। তিস্তা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এই অববাহিকায় আগামী তিনদিন পর্যন্ত মাঝারি-ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

সুরমা নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। সুরমা নদীর পানি সমতল আগামী তিনদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল আগামী তিনদিন হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। 

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়। গঙ্গা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে ও পদ্মা নদীর পানিসমতল স্থিতিশীল আছে। নদীসমূহের পানিসমতল আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।