বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেছেন, একটি পক্ষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে বলছে। তারা এই পদ্ধতির সুপারিশ করে বাংলাদেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব দলের একজন সদস্যও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়নি। যারা বাংলাদেশের মাটিতে মেম্বারও হতে পারেনি, তারা গোটা নির্বাচনি ব্যবস্থা বদলাতে চায়, এটা কখনোই বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

গতকাল রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের উত্তর টুমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপির ওয়ার্ড প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, ১৬-১৭ বছর আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির বহু নেতাকর্মী শহীদ ও আহত হয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দল বিএনপি। দীর্ঘদিন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। কেউ যদি কাল্পনিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে দেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের সেই সুযোগ দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই।

খায়ের ভূঁইয়া আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানসহ যারা আছেন, তাদের উদ্দেশে বলছি, উদ্ভট এবং কাল্পনিক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন। বাংলাদেশের মানুষ যে পদ্ধতিতে নির্বাচন করে, সেই পদ্ধতিই স্বচ্ছ, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করুন। এ কারণেই আমরা এখন সরকারকে সহযোগিতা করছি। তবে এই সহযোগিতা দীর্ঘদিন চলবে না।

খায়ের ভূঁইয়া আরও বলেন, এ দেশের মানুষ খালি হাতে রাস্তায় নেমে বুক পেতে দিতে পারে। তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু করা যাবে না। দেশের গণতন্ত্রের জন্য বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে দীর্ঘদিন কারাবরণ করছেন। তারেক রহমান শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জিয়া পরিবার। 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল করিম ভূঁইয়া মিজান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম স্বপন, জামাল হোসেন এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ প্রমুখ।