লক্ষ্মীপুরে শ্বশুর বাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুরে বিয়ের আট মাসের মাথায় শ্বশুর বাড়ি থেকে মো. রুবেল (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামের মহব্বত আলী মুন্সিবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার (৬ অক্টোবর) দিনগত রাতের কোনো এক সময় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত রুবেল ছিলেন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের বেল্লাল মিয়ার ছেলে।
নিহতের বোন নয়ন আক্তারের দাবি, রুবেলকে তার স্ত্রী পছন্দ করতেন না। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সোমবার রাতে মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন রুবেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে। এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন তিনি।
তবে নিহতের স্ত্রী রিয়া আক্তার ভিন্ন দাবি করে বলেন, রুবেলের সঙ্গে তার কোনো ঝগড়া হয়নি। রুবেল তাদের ঘরেও আসেননি। তার মতে, রুবেল তাদের ফাঁসাতেই বাড়ির সামনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রুবেল ও রিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। ঘটনার রাতে রুবেল নিজের বাড়িতেই ছিলেন। শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন আসার পর তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে মোবাইলফোনে। একপর্যায়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে যান। মঙ্গলবার ভোরে ওই বাড়ির লোকজন একটি গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শাশুড়ি পারভিন বেগমসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।