বই-খাতা-পেন্সিল সবই আছে, নেই শুধু…
আছড়েপড়া বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের যে ভবনটিতে পড়েছিল সে ভবনের নিচতলার মূল গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখ আটকে গেল একটি অংক (গণিত) খাতায়। যেখানে লেখা ছিল— আয়েশা তাইয়েবা, শ্রেণি- তৃতীয়, বিষয়- গণিত, সেকশন- রেইন। খাতার উপরের অংশে লেখা— ‘ম্যাথ: হোম ওয়ার্ক-২’।

ভবনের ভেতরে ঢুকতে এমন আরও বই, খাতা, পেন্সিল বক্স, জ্যামিতি বক্স ও ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসব ব্যাগ-বইয়ের কোনোটি অর্ধেক পোড়া, কোনোটির কিছু অংশ পোড়া, কোনোটির আবার প্রায় পুরোটাই পোড়া। তবে কিছু কিছু বই-খাতা ও ব্যাগ একেবারে অক্ষত রয়ে গেছে।

সেসব বই-খাতায় আর কোনোদিন হয়তো হোমওয়ার্ক করা হবে না। কারণ ওই দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের বেশিরভাগই এই তৃতীয় শ্রেণির। এছাড়া হাসপাতালের বিছানায় যারা কাতরাচ্ছেন তাদেরও কারও কারও ব্যাগ-বই পড়ে আছে এই ধ্বংসস্তূপে।

ভবনটিতে এখনও প্রচণ্ড পোড়া গন্ধ, পড়ে আছে শিক্ষার্থীদের স্মৃতি। শিশুদের ছেড়া ও পোড়া জুতোগুলোও পড়ে আছে ভবনের সিড়ি কিংবা কক্ষে। পড়ে আছে ভাঙা চশমার ফ্রেম, পানির বোতল।

নিচতলার আরেকটি কক্ষে পাওয়া যায় শিক্ষার্থীদের একটি হাজিরা খাতা। গ্ল্যাডিওলাস সেকশনের ওই হাজিরা খাতার ২১ তারিখের হাজিরায় দেখা যায় ৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ঘটনার দিন ২৯ জন শিক্ষার্থীই উপস্থিত ছিল। এখন তাদের কার অবস্থা কেমন, তা জানা যায়নি।