টানা ৩য় দিনে সিএনজি চালকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে যাত্রীরা

আটককৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিঃশর্ত মুক্তি, পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও জেলায় সর্বত্র চলাচলের অনুমতি দেওয়ার তিন দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তৃতীয় দিনের মতো চলছেঅনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও জেলার প্রধান সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো ছিল ফাঁকা।
গত রোববার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও মালিকদের ডাকা কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। দুপুরে জেলার নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চালক ও মালিকরা স্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। যদিও গত দুই দিন বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলে বাধা থাকলেও আজ সকাল থেকে অন্যান্য যানবাহনের গতি স্বাভাবিক রয়েছে।
চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত অটোরিকশা আটক করে হয়রানি করছে এবং বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার (২৬ জুলাই) জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা পরিবহণ মালিক সমিতির জরুরি বৈঠকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।
এদিকে, সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ইজিবাইক ও প্যাডেল চালিত রিকশায় চলাচল করছেন। যার সুযোগে এসব যানবাহনের চালকরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
নবীনগর উপজেলা আন্তঃ সিএনজিচালিত অটোরিকশা পরিবহণ স্ট্যান্ডের পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, পুলিশের কাছে আমাদের ১৭৫ গাড়ি আটক আছে, এগুলো মুক্তি দিতে হবে এবং বিআরটিসি ও পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা পরিবহণ মালিক সমিতি কর্তৃক তিন দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এই কর্মবিরতি চলবে।
জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। গাড়ি ছাড়াতে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হচ্ছে। বারবার অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ধর্মঘটে গেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।