গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, শ্বশুর-শাশুড়ি আটক

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় উশনিতা (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে নিহতের শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী রবিন মিয়া পলাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবার এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে দাবি করেছে।
আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চরবানীপাকুরিয়া ইউনিয়নের মধ্যের চর এলাকার স্বামী রবিন মিয়ার বাড়ি থেকে গৃহবধূ উশনিতার মরদেহ উদ্ধার করে মেলান্দহ থানা পুলিশ।
নিহত উশনিতা মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩নং গুনারীতলা ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ মন্ডলের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার স্বামী রবিন মিয়া জামালপুর শহরে যান। দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দেন তিনি। এ সময় তিনি দেখেন, উশনিতা ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। পরে জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে উশনিতার মরদেহ নামিয়ে আনেন তিনি। আজ সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের নিহতের শ্বশুর রইচ উদ্দিন (৪৫) ও শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। তবে স্বামী রবিন মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।
নিহত উশনিতার সৎমা শিল্পী বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে উশনিতার বিয়ে হয় রবিন মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাকে নির্যাতন করা হতো। (শুক্রবার দিনগত) রাত তিনটার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলা হয়, আমার মেয়ে ফাঁস দিয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে ফাঁস দিতে পারে না। ওকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে থাকা পোশাক ছেঁড়া ছিল। এটা হত্যা, আমরা এর বিচার চাই।’
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’