‘মহানবী (সা.)-এর সীরাতের প্রামাণ্য উপস্থাপন মানুষের অন্তরে প্রোথিত থাকবে’

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাসজিদ-উত-তাকওয়া ধানমণ্ডি সোসাইটি নানামাত্রিক আয়োজনে মহানবী (সা.)-এর সীরাত উপস্থাপনের যে প্রয়াস চালিয়েছে, তা অনন্য। মহানবী (সা.)-এর সীরাতের প্রামাণ্য উপস্থাপন মানুষের অন্তরে প্রোথিত থাকবে। শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডি মাসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটি আয়োজিত ‘সীরাত আয়োজন ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কেবল শ্রবণের মাধ্যমে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করি, তার স্থায়িত্ব কম। কিন্তু আমরা যখন একই সঙ্গে দেখি ও শুনি, তখন তা দীর্ঘসময় আমাদের মনে প্রোথিত থাকে। ধানমণ্ডির মাসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটি হযরত (সা.)-এর বসতঘর, ব্যবহার্য জিনিসপত্র, প্রিয় খাদ্যদ্রব্য, স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ প্রতীকী আয়োজনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছে। এর ফলে মহানবী (সা.)-এর সীরাত সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত হবে। এছাড়া, তাঁর সীরাত সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে।
মাসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটির সভাপতি, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মসজিদের খতিব সাইফুল ইসলাম, ডা. এম এ আজিজ, হাসান শহীদ সিদ্দিকী, তাজুল ইসলাম ঢালী, জি এম ফারুক, রিয়াজ আহমেদ সফিউল্লাহ, প্রফেসর মোজাম্মেল হক, মামুন উর রশিদ পারভেজসহ মুসল্লিরা।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী। তাঁর চরিত্রে যাবতীয় অনুপম গুণাবলির সন্নিবেশ ঘটেছে। তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তাঁর সীরাত অনুসরণের মাধ্যমে যাপিত জীবনই সার্থক জীবন। তিনি সবাইকে হযরত (সা.)-এর সীরাত অনুসরণে জীবন ধারণের অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তাকওয়া মসজিদ কমিটি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সীরাত সম্পর্কে জনসাধারণকে ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিন দিনব্যাপী সীরাত আয়োজন করেছিল। এ আয়োজন এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামীতে আরও বৃহৎ পরিসরে সীরাতুন নবী (সা.)-এর আয়োজন করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে উভয় উপদেষ্টা মসজিদের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় সীরাত প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রতীকীভাবে মহানবী (সা.) ও হযরত ফাতেমা (রা.)-এর বসতঘর, হযরত (সা.)-এর তৈজসপত্র, পানির মসক, খেজুর পাতার ছাউনি, খাট, প্রিয় খাবার প্রভৃতি প্রদর্শন করে আয়োজক কমিটি। এছাড়া, সীরাত বই প্রদর্শনী, সীরাত আলোচনা, নাশিদ সন্ধ্যা, শিশুতোষ আলোচনা, নারীদের জন্য বিশেষ হালাকা, নবীজির সুবাস, রং তুলিতে নবীজির শহর, ফুড অব প্রফেট (সা.), বায়োগ্রাফি অব প্রফেট (সা.) শিরোনামে প্রতিযোগিতা ও থ্রিডি এনিমেশন শো’র ব্যবস্থা করা হয়।