প্রেম করে বিয়ে, তিন মাসেই শ্বশুর বাড়িতে লাশ বর্ষা

প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে শ্বশুর বাড়ি থেকে নববধূ কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তার বর্ষার (২২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ বেলতলা বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী কলেজ শিক্ষার্থী সিয়ামসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে হত্যা বলে ধারণা করছেন আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কুদ্দুস হোসেন। এই ঘটনায় দুই নারীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গৃহবধূ লামিয়া আক্তার বর্ষা (২২) সরকারি বরিশাল কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোডের বাদশা মিয়ার গলির বাসিন্দা স্বর্ণকার বেলায়েত খানের মেয়ে। বিয়ের পর বর্ষা বেলতলা এলাকায় তার শ্বশুর শাহীনের বাড়িতে স্বামী সিয়ামকে নিয়ে বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থতার খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসেন নিহত বর্ষার বাবা বেলায়েত খান। এরপর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
নিহত বর্ষার বাবা বেলায়েত খান বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নির্যাতন করতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার রাতে আমার মেয়ে অসুস্থ বলে খবর জানানো হয়। এরপর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখি খালিঘরের একটি কক্ষে আমার মেয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’।
আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কুদ্দুস হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকেই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। ঘটনা তদন্তে দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইন অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।