মানিকগঞ্জে একদিনে পৃথক স্থান থেকে নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপর পর্যন্ত জেলা সদর, ঘিওর, সিঙ্গাইর ও সাটুরিয়া উপজেলা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুমারভোগা গ্রামের নূর আহম্মদ ছেলে আবু হানিফ, ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াভাঙ্গা এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে সোনা মিয়া, সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের দেউলি এলাকার আয়নাল মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার এবং জামালপুর সদর উপজেলার রুহুল্লী এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রাসেল মাহমুদ।

সদর থানার পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে জেলা শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙে আবু হানিফ নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হানিফের সাবেক স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার সরকারি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করেন। খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে ভাড়া বাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় হানিফের মরদেহ উদ্ধার করে তারা।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে জেলা সদরের দীঘি এলাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অদূরে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, মৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

এদিকে ঘিওর থানার পুলিশ জানায়, আজ সকালে উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকায় সোনা মিয়া নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘিওর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কোহিনুর ইসলাম বলেন, গতকাল রোববার দেওভোগ এলাকায় বোনের বাড়িতে যান সোনা মিয়া। রোববার দিনগত রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। আজ সকালে বোনের বাড়িতে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি কোহিনুর।

অপরদিকে সিঙ্গাইর থানার পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার দিনগত রাতে সিঙ্গাইর উপজেলার দেউলি এলাকার রোজিনা আক্তার বিষপান করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সাটুরিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় ইনসেপ্টা ফার্মিসিউটিক্যালের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন রাসেল মাহমুদ। গতকাল রোবাবর দুপুরে কাজ করার সময় ছাদের উপর থেকে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম রাসেলের ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রোববার দিনগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সাটুরিয়া থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম বলেন, ওই শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।