রৌমারীতে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে মাংস ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রতিরোধে মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সামাদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান পাইকার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন রুবেল হোসেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মজিদা খাতুন, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাসেল মিয়াসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাংস ব্যবসায়ী, জবাইকারী, হাট-বাজারের প্রতিনিধিসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রতিরোধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অসুস্থ বা মৃতপ্রায় গবাদি পশু জবাই ও মাংস বিক্রি সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। এমন কার্যক্রম জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, অ্যানথ্রাক্স একটি অত্যন্ত সংক্রামক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। তাই পশু জবাইয়ের আগে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নেওয়া, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বাজারে বিক্রির আগে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সভায় ইউএনও উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার দৃঢ় অবস্থানে আছে। অসুস্থ পশু জবাই ও মাংস বিক্রির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান পাইকার জানান, সম্প্রতি দেশে অ্যানথ্রাক্স রোগের বিক্ষিপ্ত সংক্রমণের প্রেক্ষিতে মাঠপর্যায়ে সতর্কতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া কোনো পশু জবাই না করার জন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদের রোগ শনাক্তকরণ, মাংস পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করার বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।