আজকের জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমাকে যদি আজকের প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন করেন, তাহলে বলতে হবে— আমি এ মুহূর্তের সৃষ্ট পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত মনে করছি। হতে পারে, অনেকেই এই জুলাই দলিল সম্পর্কে সম্পূর্ণ একমত নন; কিন্তু সেটা বড় কথা নয়, বরং আমি মনে করি, সেটাই স্বাভাবিক।’

আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে এক প্রতিক্রিয়া এসব কথা বলেন মঈন খান।

আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ সবাই হঠাৎ করে সবকিছুতেই একমত হয়ে যাবে—সেটাও তো কোনো বাস্তবতা নয়। সত্যি কথা বলতে গেলে, তাহলে তো আমরা আবার বাকশালের পথেই ফিরে যাব।

মঈন খান বলেন, এখানে মূল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে—জুলাইয়ের যারা অগ্রসেনানী, তাদের ব্যতিরেকে বাংলাদেশে কোনো জুলাই সনদ আদৌ অর্থবহ হতে পারে কিনা? আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, আমরা কেন কিছু মৌলিক বিষয়ে একমত হতে পারলাম না? কিংবা কেন ফোকাল পয়েন্ট থেকে সরে গিয়ে আলোচনার পরিসর হাজারো বিষয়ে উন্মুক্ত করে দিলাম?

বিএনপির এই নেতা বলেন, তাছাড়া, যাদের ওপর এই সমন্বয়ের গুরুদায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল, তারা কি সেই দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট যোগ্য ছিলেন না—এমন প্রশ্নও উঠতে পারে। তদুপরি, এ কথাও বিবেচ্য যে, অন্তর্বর্তী সরকারের কি আদৌ এই ধরনের একটি এক্সারসাইজে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল? নাকি, সেটি স্বল্পতম সময়ে অনুষ্ঠিত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের হাতে তুলে দেওয়া অধিক যুক্তিযুক্ত হতো?

মঈন খান আরও বলেন, অনেকের দৃষ্টিতে, সরকার নিজেই এই দায়িত্ব নিতে গিয়ে আজ কার্যত এত বড় একটি জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।