সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লালন উৎসব ও মেলা উদযাপন

জাতীয় পর্যায়ে লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয় লালন উৎসব ও লালন মেলা। সবার জন্য উন্মুক্ত এ অনুষ্ঠানগুলো নতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে শনিবার (১৮ অক্টোবর) কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন দিনব্যাপী লালন উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ (কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন), বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক তানজিম ইবনে ওয়াহাব।
পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ, রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে লাখো লালন ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মঞ্চের শিল্পীদের সঙ্গে জনপ্রিয় গানগুলোর সঙ্গে কণ্ঠ মেলান লালন ভক্ত অনুরাগী।
সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে লালন সাঁইয়ের ওপর নির্মিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হয় লালন সংগীতানুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ১৭ থেকে ১৯ অক্টোবর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ারস্থ লালন ধামে তিন দিনব্যাপী লালনের ভাব-দর্শন চর্চা, লালন সংগীতানুষ্ঠান ও লালনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় লালন উৎসব- ভক্ত, সাধক আর শিল্পীদের মিলনমেলা।
আগামীকাল ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় কুষ্টিয়ায় তিন দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ে লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সমাপনী দিনেও ভাবগীতির সুর আর গানের বাণীতে ভরে উঠবে ছেউড়িয়ার লালন ধাম। গান গাইবেন সারাদেশ থেকে আগত বাউল- ফকিরগণ।