নির্বাচনের আগে-পরেও জোট হতে পারে, বিএনপি ওপেন রয়েছে : মঈন খান

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জোট বা কোয়ালিশন একটি স্বীকৃত পন্থা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেখুন আমরা যে পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোয়ালিশন কিন্তু একটি স্বীকৃত পন্থা এবং এটা শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বেই এই প্রক্রিয়া চালু আছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
আবদুল মঈন খান বলেন, ২০০১ সালের উদাহরণে ফিরে যাই। সে সময় কিন্তু আমরা প্রাক নির্বাচনি কোয়ালিশন করেছিলাম এবং সেটা জামায়াতের সঙ্গে হয়েছিল। আপনারা জানেন যে আমাদের মন্ত্রিসভায় জামায়াত থেকে দুজন মন্ত্রী, দুজন সদস্য ছিলেন। কাজেই এটা এমন কোনো আশ্চর্য বিষয় নয়। এটা নির্বাচনে প্রাক নির্বাচনি সমঝোতা হয়। কোয়ালিশন হয়। অনেক উদাহরণ রয়েছে যে নির্বাচন পরবর্তী কোয়ালিশনও হয়ে থাকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, কাজেই এই প্রশ্নটি আপনি যেটা করেছেন তার উত্তরটিতে আমি নির্দিষ্ট করে বলব, আমাদের বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এখনো ওপেন রয়েছি। আমরা সময়মতো যথাসময়ে এই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করব। ঠিক এই মুহূর্তেই আমার মনে হয় এখনো সময় হয়নি। আমরা সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে নিশ্চয়ই আপনারা তখন সেগুলো জানতে পারবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে যে জুলাই সনদ যেটা স্বাক্ষর হয়েছে সেখানে এনসিপি অংশগ্রহণ করেনি। এটা একটা বাস্তবতা। তাদের কিছু দাবি দাওয়া ছিল। তবে এই প্রসঙ্গে আমি কিন্তু আমার মতামত ঠিক গত শুক্রবারে পত্রপত্রিকা মিডিয়াতে দিয়েছি। আমি নীতিগতভাবে এটা বিশ্বাস করি যে আমরা যারা রাজনীতি করি দলমত নির্বিশেষে আমাদের মতামত থাকবে এবং মতদ্বৈধতাও থাকবে। ভিন্ন মত থাকবে। যদি ভিন্ন মত না থাকে তাহলে কিন্তু গণতন্ত্র হতে পারে না। কাজেই আজকে এনসিপি যেটা বলেছে তাদের কিছু ভিন্নমত রয়েছে আমরা সেটাকে সম্মান করি। আমাদেরও কিছু ভিন্নমত রয়েছে। আমরা আশা করি অন্যরাও সেটা সম্মান করবে। আমরা সবাই যদি একমত হয়ে যাই, তবে কিছু মনে করবেন না আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি তাহলে তো আমরা আবার সেই বাকশালেই ফিরে যাব। আমরা সেই পথে যেতে চাই না। আমরা গণতন্ত্রের যে সংজ্ঞা ‘দি রুল অফ মেজরিটি উইথ দ্য কনসেন্ট অফ মাইনরিটি’ সেই আদর্শে বিশ্বাস করি।