ভূমিসেবা স্বয়ংক্রিয়করণ একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ : ভূমি সচিব
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ. এস. এম. সালেহ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে ভূমি প্রশাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এখানকার প্রেক্ষাপটে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয়করণ একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট ফর দ্য ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন প্রজেক্ট’ শীর্ষক সেমিনারে ভূমি সচিব এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে— ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করা। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সরকার হাতে নিয়েছে ‘ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন প্রকল্প’।
ভূমি সচিব বলেন, ভূমি আমাদের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপ্রতুল জমি, জটিল ভূমি রেকর্ড ও দীর্ঘদিনের ম্যানুয়াল প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এসব সমস্যা নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন বাংলাদেশের প্রশাসনিক সংস্কারে এক মাইলফলক।
সালেহ আহমেদ আরও বলেন, এটি শুধু নাগরিক সেবা সহজ করেনি, বরং সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করছে। ভূমি সংক্রান্ত সেবাগুলো দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতা, কাগজপত্রের অগোছালো অবস্থা, দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতির কারণে জনগণের কাছে ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন বা ডিজিটাল রূপান্তর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
পরে সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতির মূল কাঠামো সেকশন-১ এর ওপর আলোচনা সভা হয়।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব বলেন, রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রমের দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও ফলাফলভিত্তিক পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও মাঠ প্রশাসনের কার্যক্রম নিরীক্ষণ, মূল্যায়ন এবং উন্নয়নের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শরিফুল ইসলাম, মো. আব্দুর রউফ, সায়মা ইউনুস, মো. এমদাদুল হক চৌধুরী এবং মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)