ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
২০০৯ সালে প্রস্তাবিত ভৈরব জেলা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-সিলেট ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলমান এই কর্মসূচিতে কয়েক হাজার ছাত্র-যুবক ও সাধারণ জনতা অংশ নেয়।
দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে এই সময় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও বক্তব্য দেন।
অবরোধের ফলে মহাসড়ক দুটির উভয়পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রী সাধারণ দুর্ভোগের শিকার হয়। বিলম্বিত হয় তাদের যাত্রা। তবে জরুরি চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত গাড়ি, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশগামী ও বিদেশফেরত যাত্রীদের বহনের গাড়িগুলোকে অবরোধমুক্ত রাখা হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ভৈরববাসীর দীর্ঘদিনের দাবির মুখে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ভৈরবে এক জনসভায় ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করেন। পরে ওই বছরের অক্টোবর মাসে কিশোরগঞ্জকে ভেঙে কটিয়াদী, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, কুলিয়ারচর উপজেলার সমন্বয়ে ‘ভৈরব’কে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
বক্তারা আরও বলেন, সে সময় ‘অখণ্ড কিশোরগঞ্জ’ দাবি তুলে আন্দোলনে নামে কিশোরগঞ্জ সদরের লোকজন। পর্দার আড়াল থেকে তৎকালীন স্পিকার আব্দুল হামিদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধিতা করেন। ফলে প্রজ্ঞাপন জারি এবং জেলার সম্ভাব্য জরিপে সব দিক থেকে প্রজেটিভ ফলাফলের পরও বাস্তবায়ন হয়নি সরকারের গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত। সেই ন্যায্য দাবি আদায়ে আমরা আজ আবারও মাঠে নেমেছি।
বক্তারা আরও বলেন, এই যুক্তি ও দাবি আমাদের অধিকার। দাবি না মানলে সড়ক, রেল ও নৌপথ বন্ধ করে দেশকে অচল করে দিব। প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করাসহ ভৈরবের উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, গ্যাস সরবরাহ লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হবে।
এই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি সাইফুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ভিপি মুজিবুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাওলানা শাহরিয়ার, গোলাম মহিউদ্দিন, মুহাম্মদ জুনায়েদ, গণঅধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ আল মামুন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন সুজন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল মাহমুদ আফজাল, সাধারণ সম্পাদক ইমন প্রমুখ।

মোস্তাফিজ আমিন, ভৈরব