সেতু কর্তৃপক্ষ ও ডিএনসিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
 
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে অব্যবহৃত জায়গাগুলোর কার্যকর ও নান্দনিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সবুজায়ন এবং নগরবাসীর জন্য গণপরিসর উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং সভাপতিত্ব করেন সেতু বিভাগের সচিব ও সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। চুক্তিতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন সেখ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্বাক্ষর করেন।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকার নাগরিকদের জন্য নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। অব্যবহৃত জায়গাগুলো আধুনিক বিনোদন ও বিশ্রামের পরিসরে রূপান্তরিত হবে। দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন : লোকসানে থেকেও লভ্যাংশ দেবে তিতাস গ্যাস
সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের স্থানগুলোকে নাগরিক কল্যাণে ব্যবহার করে নগরজীবনকে আরও প্রাণবন্ত ও সুসংগঠিত করা আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, পিলারের মধ্যবর্তী ও আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে দেশীয় ও পরিবেশবান্ধব বৃক্ষরোপণ, নান্দনিক বাগান, হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে), সাইকেল লেন (যেখানে সম্ভব), বসার বেঞ্চসহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এসব উদ্যোগ পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
চুক্তির আওতায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের অব্যবহৃত জায়গাগুলোকে পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে সবুজায়ন, পথচারী-বান্ধব এলাকা, বিনোদন স্পট, খেলার মাঠ, সাইকেল ট্র্যাক, আর্ট ও কালচার কর্নার, বসার স্থান এবং উন্মুক্ত গণপরিসরে রূপান্তরিত করা হবে। এর ফলে নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়ন, বায়ুদূষণ হ্রাস এবং নগরীর পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন : ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ১
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই সমন্বিত উদ্যোগকে ঢাকা মহানগরীর পরিবেশবান্ধব ও টেকসই নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রকল্প পরিচালক এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 
                   বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
                                                  বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
               
 
 
 
