সংবিধানে অটো পাসের মতো কোনো বিষয় থাকতে পারে না : সালাহউদ্দিন
গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো আগামী জাতীয় সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে অনুমোদন না করলে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ সুপারিশের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
আরও পড়ুন : ‘গণভোট নির্বাচনের দিনই হবে, এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই’
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা জানি, আসন্ন যে নির্বাচন হবে সেটা জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে। জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। এখন সেই সংসদ সদস্যদের যদি সংবিধান সংস্কার পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়, সেটা তো জাতীয় সংসদেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন জাতীয় সংসদে কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তো আলোচিত হয়নি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে। এ বিষয়ের কোনো সুপারিশ বা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা না হওয়ার পরও এই সুপারিশমালার মধ্যে হঠাৎ করে যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ একইসঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে, উনারা এই সিদ্ধান্তটা আরোপ করতে পারেন না। চাপিয়ে দিতে পারেন না।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে কেবল জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার কথা। সংবিধান সংস্কার পরিষদের জন্য তো কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন তো হবে জাতীয় সংসদের জন্য।
আরও পড়ুন : জাতীয় নির্বাচনের দিন বা আগে গণভোটের সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের
বিএনপিনেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। সংবিধানের কোনো বিষয় সংশোধিত হওয়ার পরে এটা একটা আইন। সেই আইনটা পার্লামেন্টে যথাযথভাবে পাস হওয়ার পরে যখন স্পিকার সই করে রাষ্ট্রপতির কাছে দেবেন, রাষ্ট্রপতি সই হওয়ার পরে সেটা তখন আইনে পরিণত হবে। সেটা সংবিধান সংশোধন হোক বা অন্য আইন। পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না। এগুলো কীভাবে সুপারিশে এল আমি জানি না।
আইন সংশোধনের সুপারিশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আরও অনেক বিষয় আছে। এখানে কয়েকশ পৃষ্ঠার সংযুক্তি আছে। এগুলো দেখে আমরা খুব শিগগির কালকে অথবা তার পরের দিন বিস্তারিত কথা বলব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বদলে জাতীয় অনৈক্য প্রতিষ্ঠার একটা প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছেন। স্বাক্ষরিত সনদবহির্ভূত অনেক পরামর্শ বা সুপারিশ, সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে। নোট অব ডিসেন্টের কোনো উল্লেখ নেই। আমার মনে হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্যই কিছু সুপারিশ দিয়ে তারা কার্যক্রম সমাপ্ত করতে চেয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক