চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ
নড়াইল সদর উপজেলায় চাঁদার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দায়েরের পরের দিন আসাদুল খন্দকার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ককটেল বিস্ফোরণে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও ব্যবসায়ীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সদরের আগদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আসাদুল খন্দকারের নিজ বাড়িতে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নড়াইল সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জামিল কবির ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ২৭ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ব্যবসায়ী আসাদুলের মুঠোফোনে অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ঘণ্টাখানেক পর আবারও ফোন করে চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকি দেওয়া হয়। এর পরের দিন (২৮ অক্টোবর) ভুক্তভোগী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পরের দিন বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিস্ফোরণ ঘটানোর পর হুমকিদাতারা পুনরায় আসাদুলকে ফোন করে নিশ্চিত করে, তারা কথা রেখেছে। হুমকিদাতার কল রেকর্ডে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আসাদুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আসাদুল, তুই বলছিলি যা পারি করতে। দেখছিস পারি কি না? ফোন নম্বর নিয়ে যা পারিস কর।’
আরও পড়ুন : বিদ্যুতের শকে মাদ্রাসার সাত শিক্ষার্থীসহ আহত ৮
তখন ঘটনাস্থলে বিছালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম থাকায় তিনি ভুক্তভোগী আসাদুলের ফোনটি নিয়ে হুমকিদাতার সঙ্গে নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলেন, ‘ভালো আছেন? কী বলছেন ভাইকে (আসাদুল)’ প্রশ্নের জবাবে উত্তর আসে, ‘কী বলছি সে বলেনি আপনাকে? তার থেকে জেনে নেন।’
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আসাদুল খন্দকার বলেন, আমার ছেলে-মেয়ের তথ্য দিয়ে আমাকে মুঠোফোনে দুই দফায় হুমকি দেওয়া হয়। ৬ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকিও দেয় সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) হুমকিদাতাদের মোবাইল নম্বর নিয়ে সদর থানায় ঘুরে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে না পেরে অভিযোগ দিয়ে আসি। অভিযোগ দিয়ে আসার পর, পুলিশ আমার খোঁজ না নিলেও সন্ত্রাসীরা ঠিকই বোমা মেরে গেছে।
আরও পড়ুন : চীনের ১০ শতাংশ ‘ফেন্টানিল শুল্ক’ কমানো ঘোষণা ট্রাম্পের
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটেছে, পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এম. মুনীর চৌধুরী, নড়াইল