চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জুয়েলার্সে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় মূল আসামি কামাল পারভেজ মিলন (৪৬) ও অপর আসামি মো. খলিল মৃধাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাত ভরি স্বর্ণ ও নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাজারের থানা মোড় এলাকার মন্টু কর্মকারের ‘মা জুয়েলার্সে’ চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা চোর চক্র দোকানের ক্যাশ বক্সের তালা ভেঙে নগদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা এবং সিন্দুকের তালা ভেঙে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ২৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ ও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের ৩৫ ভরি রূপা চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ব্যবসায়ী মন্টু কর্মকার ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে মূল আসামি পারভেজকে ২৯ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে থানার অপর একটি দল সদর উপজেলার এনায়েতনগর থেকে একই দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খলিলকে গ্রেপ্তার করে।

এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, পারভেজের দেওয়া তথ্যে তার নিজ ভাড়া বাসা থেকে চুরি যাওয়া সাত ভরি এক আনা এক রতি স্বর্ণালংকারসহ দুটি মোবাইল ফোন এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে পারভেজ জানিয়েছে, চুরি করে নেওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার বিভিন্ন জায়গায় ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করেছে এবং ওই টাকা থেকে সহযোগী খলিল মৃধাকে পাঁচ লাখ টাকা দেয়। পুলিশ খলিলের কাছ থেকে ওই পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করে। বাকি পাঁচ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার এবং জড়িত অন্যদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, কামাল পারভেজ মিলন একজন আন্তজেলা চোর চক্রের মূল হোতা। সহযোগীদের সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্বর্ণালংকারের দোকানে কৌশলে চুরি করতেন। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ সাতটি এবং খলিল মৃধার বিরুদ্ধে দুটি সিআর মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আজই চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. লুৎফুর রহমান এবং সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা উপস্থিত ছিলেন।