আরপিও সংশোধন হওয়ায় অসন্তোষ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
এর আগে গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) নির্বাচনি আইনের ব্যাপক সংস্কার এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি হয়েছে।
নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাইফুল হক জানান, নির্বাচন কমিশন বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা। বাস্তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে কোনো এজেন্ডা আকারে, বিশেষ করে আরপিও এবং আচরণবিধির ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা হয়নি। এটা নিয়ে আমরা অসন্তোষ জানিয়েছি। সরকারের তরফে ব্যবস্থা নিয়েছে, এটা দৃশ্যমান হয়। এটা বলে ইসির দায় এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ৩১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সাইফুল হক বলেন, আরপিও চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। ইতোমধ্যে আরপিও সংশোধন জারি হয়েছে। এটাতে আমরা অসন্তোষ ও ক্ষোভ, আপত্তি জানিয়েছি। এটা কোনো বিবেচনাসম্মত কাজ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা ও মর্যাদা বৃদ্ধি করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে জামানত, নির্বাচনি ব্যয় কমানোসহ নানা দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
সাইফুল হক বলেন, আমরা মনে করি এখনও সময় আছে, গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে সংস্কার করে ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন হবে। আমরা একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে পারব বলে আশা রাখি। সরকারের কোনো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপে ইসি যেন নতি স্বীকার না করে একথা বলে এসেছি।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

                  
                                                  নিজস্ব প্রতিবেদক