সাভারে ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনি আমেজ
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ আসন ঢাকা-১৯ (সাভার)-এ পুরোদমে নির্বাচনি আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের সর্বাধিক ভোটারের এই আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহপরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. আফজাল হোসাইন। আসটিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনও প্রার্থী ঘোষণা দেয়নি।
মাস দুয়েক আগে থেকেই জামায়াতে ইসলামী তাদের একক প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ায় আগেভাগেই নির্বাচনি প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট প্রার্থনা করে মাঠ গরম করে রেখেছেন মো. আফজাল হোসাইন। অন্যদিকে, বিএনপি থেকে কমপক্ষে চারজন মনোনয়ন চেয়েছিলেন, ফলে দলীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন বিভক্ত। তবে, সর্বশেষ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফোন পেয়ে উজ্জীবিত হন ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুর কর্মী-সমর্থকরা। মনোনয়নের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে তিনি প্রথমে তার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান ইদ্রিসের কবর জিয়ারত করে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করেন। দলীয়ভাবে তার নাম ঘোষিত হওয়ায় তিনি বর্তমানে মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য নেতাদের এক কাতারে আনতে তাদের নিয়ে লাগাতার সভা করছেন।
ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু জানান, মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই। এতদিন কর্মীরা বিভিন্ন নেতার পক্ষে থাকলেও এখন সবাই ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। আমাদের একটাই লক্ষ্য নির্বাচনে জয়লাভ করা।’
অন্যদিকে, বিএনপির দুর্গে আঘাত করে ঢাকা-১৯ আসনটি নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া জামায়াত। দলটির প্রার্থী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. আফজাল হোসাইন বলেন, ‘ফরজের নামাজ পড়ে শুরু হয় আমাদের গণসংযোগ। শেষ হয় মধ্য রাতে। আমরা মানুষের মধ্যে জাগরণ দেখতে পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আসনটিতে আমরা ভালো ফলাফল করতে পারব।’

জাহিদুর রহমান