জামায়াত প্রতিশোধ নিলে দেশ বধ্যভূমি হতো : শফিকুর রহমান
‘জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। করলে ৫ আগস্ট দেশ বধ্যভূমিতে পরিণত হতো’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে সিলেট নগরীর একটি কনভেনসন সেন্টারে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সুধী সমাবেশে এ মন্তব্য করেন ডা. শফিকুর রহমান।
সুধী সমাবেশে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, দল ও ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে আর বিভক্ত করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনে জয় পরাজয় যাই হোক না কেন, সব ইসলামী ও দেশপ্রেমিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়েই আগামীতে পথ চলবে জামায়াত ইসলামী।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, রাজকীয় মন নিয়ে রাজনীতি করতে হয়। উজাড় করে দিতে হয়। কিন্তু দেশের রাজনীতিকরা নির্বাচিত হলেই ইবাদতকে খাজনায় পরিণত করে।
অসৎ রাজনীতিকরা নিজেদের স্বার্থে পুলিশকে অপরাধে জড়িত করেছিল দাবি করে জামায়াতের আমির বলেন, দেশ চালাতে পুলিশ লাগবেই। একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে স্বাভাবিকভাবে কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। যখন-তখন যে কেউ অদৃশ্য হয়ে যেত। জামায়াতকে নির্মূল করতে বার বার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা নিজেদের বাড়িঘরের থাকতে পারত না।
জামায়াত সরকার গঠন করলে সরকারি জামায়াতের এমপিরা সরকারি বাড়তি সুবিধা নেবে না বলেও জানান তিনি।
বিনা ট্যাক্সের গাড়ি নেবেন না জামায়াতের নির্বাচিত এমপিরা বলেও জানান জামায়াতের আমির।
সুধী সমাবেশে বক্তারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে যারা নোট অব ডিসেন্ট বা আপত্তি জানিয়েছেন, তারা আসলে কী চান? এটা তাদের স্পষ্ট করতে হবে।
গণভোটসহ প্রস্তাবিত দাবি না মানলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কঠিন রূপ নিতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, সংস্কারের আইনি ভিত্তি না হলে নির্বাচন ফলপ্রসূ হবে না। আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা কাউকে এই সুযোগ দিবে না।

সজল ছত্রী, সিলেট