কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি গ্রহণ করা হবে না : ডা. জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব কিছু হবে অত্যন্ত ট্রান্সপারেন্ট। কোনো অবস্থাতেই কোনো লোকোচুরি, কোনো দুর্নীতি, কোনো স্বজনপ্রীতি গ্রহণ করা হবে না। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা সমভাবে বণ্টন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ডা. জাহিদ এসব কথা বলেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলার বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্য, সুধীজন, গুণীজন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, কোনো অবস্থাতে কারো প্রতি কোনো বিদ্বেষমূলক আচরণ করা যাবে না এবং করতে দেওয়া হবে না। আরেকটি জিনিস মনে রাখতে হবে, আমরা উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে সবসময় চাইব সব মানুষের অংশগ্রহণে সমভাবে বণ্টন। অর্থাৎ জাহিদ সাহেবের ভাই এজন্য বেশি পাবে অথবা অমুকের শালা এজন্য পাবে অথবা আমার পরিচিত এ জন্য ভিজিএফ কার্ড বেশি পাবে অথবা টিসিবি কার্ড বা ফ্যামিলি কার্ড পাবে, এটা কিন্তু হবে না। যাদের পাওয়া উচিত তারাই পাবে। অতীতে যদি এরকম কোনো অন্যায় অবিচার হয়েও থাকে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। যারা পাননি, যারা পাওয়ার উপযুক্ত, আপনারাই জনপ্রতিনিধি, আপনারাই ঠিক করবেন তারা কারা? কারা পাওয়ার উপযুক্ত শুধু তাদেরকেই দেওয়া হবে। কোনো ধরনের অর্থের বিনিময়ে কোনো স্কুল-কলেজ বা কোথাও কোনো চাকরি হবে না। চাকরি হবে শুধু যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই। মনে রাখতে হবে জাহিদ সাহেবের পকেটে অমুক সাহেবকে টাকা দিলে আপনার চাকরি হবে, অথবা কার্ড বেশি পাবেন, চেয়ারম্যান সাহেবরা ভুলে যান ওই সব অতীত। আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
বিএনপি সব সময় মানুষের পাশে থাকবে জানিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, ‘আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই বিএনপি যদি মানুষের স্নেহ ভালোবাসায় আস্থা অর্জনের মাধ্যমে আগামী দিনে দেশের সেবা করার সুযোগ পায়; অথবা আমাকে অথবা বেগম খালেদা জিয়াকে অথবা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ধানের শীষের পক্ষে আপনারা ভোট দেন, আমরা আপনাদের কথা দিতে পারি, আপনাদের ছেড়ে পালিয়ে যাব না। আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের সমস্যার সমাধানের জন্য সাধ্যমতো রাষ্ট্রীয়ভাবে, স্থানীয়ভাবে আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের সমস্যা নিরসনের জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। আর মনে রাখবেন, যা কিছু হবে অত্যন্ত ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে।
ডা. আরও বলেন, ঠিক আছে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত আপনাকে কাজ দিব, কিন্তু আপনি চুরি করতে পারবেন না। আপনি দুর্নীতি করতে পারবেন না। আপনি খেতে পারেন না, আপনার ব্যবস্থা করা হবে—সেটা রাষ্ট্র দায়িত্ব নেবে। আমরা দায়িত্ব নিব। বিএনপির নেতাকর্মীরা সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব নেবে। কিন্তু একজনের আঙ্গুলকে মোটা হবে, আর আরেকজনের আঙ্গুল শুকিয়ে যাবে—সেটা হবে না। উন্নয়ন হবে সমভাবে। তাহলে হাতের গ্রিপ শক্ত হবে। আমরা চাই সমাজের সর্বস্তরে, সর্বক্ষেত্রে, সর্বধর্মের, সর্ব রাজনৈতিক বিশ্বাসের মানুষের ঐক্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনসহ উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ওসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক