আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক পরিচর্যায় শীতকালীন আগাম জাতের নানা ধরনের সবজি চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের কৃষকরা। জেলার বিভিন্ন মাঠজুড়ে এখন শুধু সবুজের সমারোহ—বেগুন, করলা, ফুলকপি, লাউ, লাল শাক, পালং শাকসহ নানা জাতের শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে গ্রামীণ এই জনপদ।
কৃষকরা বলছেন, পাইকারি ও স্থানীয় বাজারে সবজির চাহিদা ভালো থাকায় এ বছর লাভের মুখ দেখার প্রত্যাশা আগের বছরের তুলনায় আরও বেশি।
মানিকগঞ্জ কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ১০ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে আগাম শীতকালীন সবজি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা কৃষকদের নিয়মিত মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। আগাম জাতের সবজি চাষে যেন তারা ভালো ফলন পায়, সেই লক্ষ্যে সার্বিক সহায়তা দিচ্ছি।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা নেমে পড়েন ক্ষেতের কাজে। কেউ ফুলকপি তুলছেন, কেউ লাউ ক্ষেতে পরিচর্যা করছেন—এ যেন পরিশ্রম আর আশার এক রঙিন উৎসব।
ফকুরহাটি গ্রামের কৃষক জবেদ আলী বলেন, গতবারের চেয়ে এ বছর ফলন অনেক ভালো, দামও ভালো পাচ্ছি। তাই আগামী বছর আরও বেশি জমিতে সবজি চাষ করব।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. তানিয়া তাবাসসুম বলেন, এবার সাটুরিয়ায় সবজি চাষে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের উৎসাহ দিতে আমরা নিয়মিত মাঠে কাজ করছি। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে আমি নিজেও গিয়ে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করি।
নভেম্বরের শুরু থেকেই স্থানীয় বাজারে আগাম ফুলকপি, লাউসহ নানা জাতের সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি যাচ্ছে রাজধানীর পাইকারি বাজারেও। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মানিকগঞ্জের টাটকা সবজির চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। সব মিলিয়ে, প্রকৃতি ও কৃষকের পরিশ্রমে এখন হাসছে মানিকগঞ্জের আগাম শীতের সবজির মাঠ।

আহমেদ সাব্বির সোহেল, মানিকগঞ্জ