‘শেখ হাসিনাকে ১৪০০ বার ফাঁসিতে ঝোলানো হলে আমি খুশি হতাম’
সাবেক পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণা চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বড় পর্দায় সেই রায় ঘোষণা দেখানো হচ্ছে। পর্দার সামনে শতশত মানুষ সরাসরি সম্প্রচার দেখছেন। রায় শোনার অপেক্ষায় অধীর অগ্রহে বসে আছেন সবাই।
টিএসসিতে বড় পর্দায় রায় শুনতে থাকা খালিদ হোসেন নামের এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত। জাতিসংঘ বলছে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ১৪০০ মানুষের জন্য হলেও তাকে ১৪০০ বার ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। মরে যাওয়া শেখ হাসিনাকে, অর্থাৎ তার লাশকে বারবার ঝোলানো হলে আমি খুশি হতাম। একটা মানুষ এতটা হিংস্র হয় কীভাবে!’
মেহেদী হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফাঁসি ছাড়া হাসিনার জন্য কিছুই মানানসই না। ওর ফাঁসি না হলে জুলাই-আগস্টে শহীদ হওয়া মানুষের আত্মা শান্তি পাবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক রায় শুনছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা চাই। তাকে সাজা না দিলে আগামীতেও অন্য কারো শেখ হাসিনা হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হবে।
ইংরেজিতে রায় পড়া চলছে। এর ফাঁকে ফাঁকে রায় শোনার অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ সহ নানান স্লোগান দিচ্ছেন। সাজা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসে, পর্দার সামনে তত মানুষ বাড়তে থাকে।
কিছুক্ষণ আবার স্লোগান দেন, ‘এক দুই তিন চার, হাসিনা তুই স্বৈরাচার’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘এখন থেকে প্রতিদিন লীগ ধরে ধোলাই কর’ সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক