রায় ঘোষণার সময় তাসবিহ পড়ছিলেন সাবেক আইজিপি মামুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হলেও রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পূর্বে সকাল সাড়ে ৮টায় একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হাজির করা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় উঠানো হয়। এ সময় তার পরনে ছিল হালকা আকাশী রঙের হাফ শার্ট ও খাকি প্যান্ট।
বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হলে কয়েকজন পুলিশ তাকে ঘিরে রাখে। এ সময় আদালত কক্ষের মধ্যে কাচের ঘরে বসে ডান পাশে থাকা টেলিভিশনে তিনি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেখছিলেন। রায় শোনার পরে টেলিভিশন থেকে মুখ ঘুরিয়ে ট্রাইব্যুনালের দিকে তাকান। এরপর চোখ বুজে থাকেন। ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার সময় তার হাতে ছিল সবুজ রঙের ডিজিটাল তাসবিহ, যা তিনি গণনা করছিলেন।
রায়ের পর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে আদালত থেকে নেওয়ার সময় তিনি বলেন, আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি লজ্জিত।

নিজস্ব প্রতিবেদক