লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা হত্যা, ছাত্রদল নেতাসহ আসামি ১৩
লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে (৫০) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য কাউছার মানিক বাদলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে আটক ইমন হোসেন (২১), আলমগীর হোসেন (৪০) ও হুমায়ুন কবির সেলিমকে (৫০) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত কাউছার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- খোরশেদ আলম, মিজানুর রহমান মল্লিক, শামসুল আলম মল্লিক, শাহ আলম, রাহাত হোসেন বাবু, স্বপন, রিয়াজ ওরফে চিতা, আজিম হোসেন হারুন ও আব্দুল খালেক। তারা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত জহিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে একটি সন্ত্রাসী চক্র। মৃত্যুর আগে সম্ভাব্য হামলা ও হুমকির বিষয়ে জহির একটি ভিডিও করে তার স্ত্রী আইরিনের কাছে পাঠিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের ভয়ে তার প্রথম স্ত্রী, সন্তানসহ স্বজনরা কেউই থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছিলেন না।
জহির একজন ব্যবসায়ী ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে পশ্চিম লতিফপুরের ফারুকের বাড়ির সামনে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। গলার ডান পাশে, বুকে ও বুকের নিচে চারটি গুলি করা হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জহিরের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মী কাউছারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি এলাকায় খেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ে। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাউছার হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি। অপর অভিযুক্ত আবুল কালামের বিরুদ্ধেও মাদকসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে বাদী আইরিন আক্তার বলেন, এ ঘটনায় আমি কোনো কিছু বলতে চাচ্ছি না। তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়জুল আজীম বলেন, নিহতের স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে। মামলায় বাদী যে ভিডিওর কথা বলেছেন তা আমাদের কাছে নেই।

আবুল কালাম আজাদ, লক্ষ্মীপুর