বাড়ছে শীত, তাপমাত্রার পারদ নেমে ১৩ ডিগ্রিতে
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। টানা ছয় দিন চৌদ্দ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত বাড়ছে কনকনে শীতের দাপট।
আজ সকালে তেঁতুলিয়ায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। ভোরবেলার তীব্র ঠান্ডায় রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা থাকছে। সূর্য ওঠার পর তাপমাত্রা বাড়লেও সকালের দিকে ঠান্ডার তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
তাপমাত্রা হ্রাসের ধারাবাহিকতা
টানা কয়েকদিনের স্থিতিশীল শীত ভেঙে আজ তাপমাত্রার পারদ ১৩ ডিগ্রি ঘরে নামায় শীতের অনুভূতি আরও বেড়েছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এর আগের ছয় দিনের তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রির ঘরে। গতকাল বুধবার ছিল ১৪ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ছিল ১৪ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ছিল ১৪ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার
আরও পড়ুন: আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
ছিল ১৪ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ছিল চৌদ্দ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস ও শুক্রবার ছিল চৌদ্দ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদের বিশ্লেষণ ও ভোগান্তি
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘রাত বাড়লে শীতের তীব্রতা বাড়ে, আর সকাল গড়ালে সূর্যের তাপে তাপমাত্রা দ্রুত ওপরে উঠে। আজ ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, চলতি মাসের শেষ দিকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি নিয়ে ৫ দিনের পূর্বাভাসে যা জানাল আবহাওয়া অফিস
শীতের এই পরিবর্তনে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ভ্যানচালক রইস উদ্দিন বলেন, ‘ভোরে বের হলে হাত জমে আসে, ঠান্ডা খুব বেশি লাগে। আবার বেলা বাড়লে গরমে ঘামতে হয়।’ দোকান কর্মচারী আনোয়ার ইসলাম জানান, ‘রাতে দুই–তিনটা সোয়েটার পরেও ঠান্ডা লাগে, আর দুপুরে সেই কাপড় পরে থাকা যায় না।’

ফাহিম হাসান, পঞ্চগড় (সদর-আটোয়ারী-বোদা)