নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আর কিন্তু বেশি দেরি নেই। ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধের যেকোন দিনে তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। সেটা একসময় আপনারা জানতে পারবেন।

আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার সাথে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে ইসি সানাউল্লাহ এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকাল ও বিকেল দুই ভাগে ৮১টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমরা একটা পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন দিয়ে থাকি পাঁচ বছরের জন্য। এই পাঁচ বছর সময়কালের মধ্যে বলা হয়ে থাকে যে একটি জাতীয় নির্বাচন এবং অন্তত চারটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারে। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো তিন ধরনের রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়ে থাকেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর সাত দিনের মধ্যে একটা প্রাথমিক প্রতিবেদন তারা দিয়ে থাকেন। এক মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ ভিত্তিক বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। আর দ্বিবার্ষিক একটা প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তাদের এই প্রতিবেদনগুলো আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা অতীতে যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের প্রতিবেদনগুলো থেকে আমরা খুব বেশি উপকৃত হতে পেরেছি এমন নয়।

সানাউল্লাহ বলেন, আপনাদের অনুরোধে পর্যবেক্ষকদের বয়স ২১ বছরে নামিয়ে নিয়ে এসছি। কিন্তু ২১ বছরের একটা তরুণ কতটুকু অভিজ্ঞ, এটা আমরা সবাই অনুভব করতে পারি। সুতরাং এখানে কিন্তু একটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কীভাবে তাদেরকে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষিত করে যোগ্যতা সম্পন্ন করে তুলবেন। আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয় যে জিনিসটা হাইলাইট করেছেন; এটা হচ্ছে একদম এক নম্বর পূর্ব শর্ত। সেটা হচ্ছে নিরপেক্ষতা। পর্যবেক্ষকদের শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যত আইন আছে এবং বিধিমালা আছে এগুলোর পর্যবেক্ষকদের জানা প্রয়োজন। আপনাদেরকে জেনে রাখতে হবে, যে জিনিসটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো এই নীতিমালার মধ্যে পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন বাতিলের কারণ সমূহ কি? আর কোন পর্যবেক্ষক সম্বন্ধে যদি অভিযোগ করা হয় সে অভিযোগ তদন্তের নিয়মাবলী কি এবং কীভাবে এটা নিষ্পত্তি করা হয়। এটা জানা থাকলে পারে, অনেক ভুল ভ্রান্তি এড়িয়ে চলা সম্ভব।