যেভাবে মেট্রোরেলের ছাদে উঠে ওই শিশু
রাজধানীর সচিবালয় রেলস্টেশনে গতকাল রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে আটটার দিকে মেট্রোরেলের দুই কোচের ফাঁক দিয়ে ছাদে উঠে পড়ে ইয়াসিন নামে এক শিশু। পরে তাকে সেখান থেকে টেনে নামায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তাকর্মীরা। এই ঘটনায় পরবর্তী সময় মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) শিশুটির মেট্রোরেলের ছাদে ওঠার ঘটনা বর্ণনা করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের ছাদে মানুষ উঠে পড়ার ঘটনায় আরো বড় বিপদ ঘটতে পারত।
এদিন রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সে যে বিদ্যুতায়িত হয়নি, এটা সৌভাগ্য। এর থেকে হয়ত আরো বড় কিছু হতে পারত।’
শিশুটির ছাদে ওঠার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, গত রাতে আমরা একজন বাচ্চাকে পেয়েছি। আরো দুজন প্রায় উপরে উঠে গিয়েছিল। আমরা ভিডিওতে দেখেছি ছেলেটি কারওয়ান বাজারের কোনো এক জায়গা থেকে উঠেছে। সেখান থেকে প্রথমে আগারগাঁও আসে। সেখানে এসে ট্রেন চেঞ্জ করে। সে দুইটা ট্রেনের সংযোগস্থল দিয়ে উঠে যায়। তারপর সচিবালয় স্টেশনে যাওয়ার পরে সে ছাদের উপর ওঠে।
ডিএমটিসিএল জানায়, সাথে সাথে সিকিউরিটি বিষয়টা জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন অপারেশন বন্ধ করা হয়। আমরা প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পুরো লাইনে তাদেরকে সার্চ করি। আমরা দেখার চেষ্টা করেছি কোথাও কেউ নামছে কিনা। আমরা সারারাত ফিজিক্যালি সার্চ করেছি। সকালে সুইপ ট্রেন দিয়েও দেখা হয়েছে।
এই ঘটনায় গতকাল রাত ৮টা ৫ মিনিটের দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা মই লাগিয়ে তাদের নামিয়ে আনলেও রাতে আর ট্রেন চালানো হয়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে বহু মানুষ।

নিজস্ব প্রতিবেদক