রাস্তায় কর্মী নামাইয়া কে কোথায় ছিল দেখেছি : হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠন হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রাস্তার মধ্যে কর্মী নামাইয়া, গত ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি। গুলি করলে গুলি খাব, তবে আমাকে গুলি করে আমার কর্মীর কাছে যেতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী কুমিল্লার দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) পদযাত্রা ও গণযোগাযোগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ব্যাপারটা এমন না যে, রাস্তার মধ্যে কর্মী নামাইয়া পালাইয়া যামু। রাস্তার মধ্যে কর্মী নামাইয়া, গত ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি।’
এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠন আরও বলেন, ‘মানুষের কাছে শুনতেছি, আমি নাকি ৫০০ ভোট পাব। নয় মাসের একটা পার্টি— বাপ-দাদার পরিচয় ছাড়া যদি ৫০০ ভোট পায়, এটাই অনেক কিছু না? আপনারা যারা খেটে খাওয়া মানুষ, যারা কর্মজীবী— আপনাদের প্রতিনিধি হয়ে আমি আসছি। আমার খুব বড় বংশ নেই, আমার টাকা–পয়সা নেই, আমি বিদেশেও পড়াশোনা করি নাই, আমি ঘি খেয়েও বড় হই নাই। নেতারা ওপর থেকে নিচে আসছেন, আর আমি আপনাদের মধ্য থেকে উপরে উঠছি।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলের যারা রাস্তা–ঘাটে ছিলেন, আমরা তাদের দেখেছি। বিশেষ করে আমরা বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকেও রাস্তাঘাটে দেখেছি। অথচ এখন তাদের এক অংশ বলে— তারা নাকি আওয়ামী লীগ! বিষয়টা চিন্তা করে দেখছেন? তারা কারা?’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘যাই হোক, কেউ আমাদের পাথর মারলে আমরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করব। কেউ আমাদের গালি দিলে আমরা তাকে সালাম দেব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। আপনারা কেউ নিজেদের মধ্যে বিভেদে যাবেন না।’
দিনব্যাপী গণসংযোগের অংশ হিসেবে হাসানাত আবদুল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামে শহীদ কাদির হোসেন সোহাগের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এর আগে শহীদ কাদিরের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় হাসানাত আবদুল্লাহ দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শাপলা কলি প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা