হিমেল বাতাসে শীত বেড়েছে দিনাজপুরে
উত্তর দিকের কনকনে হাওয়া যেন এবার একটু বেশিই তাড়াতাড়ি দিনাজপুরে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোরের ঘন কুয়াশায় ঢাকা পথঘাট, থমথমে নিস্তব্ধতা আর আর্দ্রতার ভারে যেন গোটা জেলা ডুবে আছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত শীতলতায়। কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রার অস্থির ওঠানামা শীতের দাপট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে—ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে শীতের বাড়তি চাপ ও অস্বস্তি।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসে ১৩ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
শীতের তীব্রতা ও দুর্ভোগ
তীব্র শীত সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে খানসামা, বীরগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর সাধারণ মানুষের জীবনে। ভোরের কনকনে বাতাসে মানুষ বিছানা ছাড়তে হিমশিম খাচ্ছে, বেড়েছে কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ।
মণ্ডল নামের একজন বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, ‘বয়স তো হয়েছে, সামান্য শীতেই শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। ফজরের নামাজে যেতে হলে এখন চাদর জড়িয়ে বের হতে হয়।’
ভাবকী এলাকার আব্দুল কাদেরের ভাষায়, ‘এই যেই ঠান্ডা শুরু হয়েছে বাহে! এত তাড়াতাড়ি শীত নামবে ভাবি নাই। বাইরে বের হতে মনই চায় না।’
কবিরা জহাটের মোজাম্মেল বলেন, ‘শীত এমন পড়েছে যে বাইরে যেতে ইচ্ছাই করে না। কিন্তু উপায় কী—কাজে না বের হলে পেটে খাবারই জুটবে না।’
সকালে কিছু এলাকায় হালকা কুয়াশার দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উঁকি দিয়েছে রোদের আলো। তবুও দিনভর শীতের তীব্রতা বেশ অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের বক্তব্য
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘গত দুই দিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে, শীতের প্রভাবও অব্যাহত রয়েছে।’ দিনের বেলায় মৃদু রোদ দেখা মিললেও সকাল-সন্ধ্যা কাটছে শীতের কাঁপুনিতে। ভোরের ঠান্ডা বাতাস ও উচ্চ আর্দ্রতার কারণে জেলার আবহাওয়া আরও শীতল হয়ে উঠেছে।

মাসুদ রানা, দিনাজপুর (বীরগঞ্জ-খানসামা)