হাসপাতালের ল্যাবে মিলল পিস্তল
যশোরের কেশবপুর উপজেলা শহরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। হেলথ কেয়ার হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবের এক কর্মচারীর ড্রয়ার থেকে পিস্তলটি পাওয়া যায়। তবে হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. জি কে এম সামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা এবং সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর ভোরে যৌথবাহিনী কেশবপুর হেলথ কেয়ার হাসপাতালে অভিযান চালায়। অভিযানের এক পর্যায়ে হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় ল্যাবের স্টাফ আবুবক্কার সিদ্দিকের ব্যবহৃত ড্রয়ারের ভেতর থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করে নিয়ে যায় যৌথবাহিনী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, আমাকে ৫ ডিসেম্বর ভোরে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার ফোন করে ল্যাবে আসতে বলেন। এ সময় সেনাবাহিনী ল্যাবে অভিযান চালিয়ে আবু বক্করের ব্যবহৃত ড্রয়ার থেকে ওই পিস্তল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে পিস্তল উদ্ধারের খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ভিডিও করতে বাধা দেন হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. জি কে এম সামসুজ্জামান।
পিস্তল উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে হেলথ কেয়ার হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. জি কে এম সামসুজ্জামান বলেন, পিস্তল আমার ক্লিনিকে কীভাবে এলো আমি জানি না। কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান। এখানে তদন্ত কমিটির কী দরকার আছে? পিস্তল কীভাবে এলো, বিষয়টা আমি দেখতেছি।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুদ রানা বলেন, ক্লিনিকে অস্ত্র পাওয়া গেছে এটা আইনগত বিষয়। আমরা সর্বোচ্চ ওই ক্লিনিকের মালিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিতে পারি।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার মামলার থানার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মো. হেলালুজ্জামান বলেন, এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। তদন্ত করে ১০ দিন পর বলা যাবে।

ইনামুল হাসান, যশোর (মনিরামপুর-কেশবপুর)