মমেক হাসপাতালের সেই চিকিৎসকের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়ার পর তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে নোটিশের জবাব দেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বিকেল ৪টার দিকে মোবাইলফোনে ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘শোকজের চিঠি হাতে পেয়ে আজ বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে আমার জবাব দিয়েছি। ডিজি বয়স্ক মানুষ, আমারও বেয়াদবি হয়েছে। শোকজের জবাবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমতা চেয়েছি।’
তবে এ বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. জাকিউল ইসলাম ও সহাকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান বলেন, আমরা এ ধরনের কোনো চিঠির খবর জানি না। হাতে পাইনি, আমরা কিছু জানি না।
এর আগে গতকাল শনিবার মমেকের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ডা. আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।
এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে শোকজ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌসের দেওয়া সেই নোটিশের জবাব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়। এরপরই আজ সেই ডাক্তার শোকজের জবাব দেন।
এর আগে, ওই চিকিৎসককে শোকজ করে, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আইয়ুব আলী, ময়মনসিংহ