নিজ এলাকায় তোপের মুখে ব্যারিস্টার ফুয়াদ
বরিশালের বাবুগঞ্জে নিজ নির্বাচনি এলাকায় এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ লাঞ্ছিত হয়েছেন। এই ঘটনার জন্য তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বাবুগঞ্জের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মাণাধীন মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ফুয়াদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনও উপস্থিত থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই সেতু প্রকল্পের পাসের প্রচেষ্টার বিষয়ে নিজের ভূমিকার কথা প্রচার করছিলেন ফুয়াদ।
ফুয়াদের বক্তব্যের সঙ্গে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আগে থেকেই ঠান্ডা বিরোধ চলছিল। তিনি কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, ‘বহু কষ্ট করে এই সেতু প্রকল্প পাস করিয়েছি। এখন যদি এখানে চাঁদা দাবি বা টেন্ডারবাজির ঘটনা ঘটে, সেতুটি আর নির্মিত হবে না।’ যদিও তিনি কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি, তাৎক্ষণিক ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ফুয়াদ ও তার সঙ্গীরা সেখান থেকে ধাক্কা খেয়ে বের হয়ে যান এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমি কারও নাম বা দল উল্লেখ করিনি। তারপরও কেনো বিএনপির লোকজন আমার ওপর হামলা চালাল? আমি কেবল চাঁদা ও টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে কথা বলেছি।
ফুয়াদের অভিযোগের জবাবে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক আল আমিন বলেন, তিনি (ফুয়াদ) বিএনপিকে ইঙ্গিত করে মিথ্যাচার করেছেন। সেতু নির্মাণে তার কোনো অবদান না থাকা সত্ত্বেও বারবার তিনি একই কথা বলছেন। প্রকল্পের প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্থানীয় বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বাবুগঞ্জের সাধারণ মানুষকে অপমান করেছেন। বিতর্কিত এই বক্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে, নইলে বাবুগঞ্জে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল