সুদানে আহত বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষী চুমকি
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় রক্তাক্ত আহত হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক সাহসী নারী শান্তিরক্ষী চুমকি আক্তার। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেচারকান্দা গ্রামে।
মাত্র ৪২ দিন আগে সুদানের মিশনে যোগ দিয়েছিলেন চুমকি আক্তার। বাড়িতে রেখে গেছেন মাত্র দুই বছরের শিশু সন্তান ইব্রাহিম আরাবীকে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর চালানো ড্রোন হামলায় গ্রেনেডের একাধিক স্প্লিন্ট বিদ্ধ হয় চুমকির ডান হাত ও পায়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
চুমকির স্বামী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. ইকরামুল হোসেন বলেন, ‘দেশের জন্য, বিশ্ব শান্তির জন্য সে জীবন বাজি রেখেছে। আল্লাহ যেন ওকে সুস্থ করে দেন।’
চুমকির মা জহুরা বেগমের কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে কথা বলতে গিয়ে, “আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। ছেলেটাকে আমার কাছে রেখে গেছে। ওর ডান হাত আর পায়ে আঘাত লাগছে শুনে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে। আমাগো কোনো ছেলে নাই—ওই-ই তো আমাদের শক্তি।’
এই হামলায় আরও ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ঘরে ঘরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

আহমেদ সাব্বির সোহেল, মানিকগঞ্জ