হাদির মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া, হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি শহরের খাসমহল এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে আসেন বাসায়। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তাঁর পরিবারের কেউ রাতে কারো সঙ্গে দেখা বা কথা বলেননি। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সবার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা। হাদির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। জুলাই বিপ্লবের পরে হাদির মতো একজন বীরযোদ্ধাকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হলো না, এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ওসমান হাদির বাসায় বর্তমানে তাঁর বোন মাছুমা সুলতানা বিন হাদি ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন আছেন।
ওসমান হাদির শিক্ষক এম এ রহিম বলেন, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর শুনে ওদের বাসায় আসি। এখানে অনেক মানুষ ভিড় করেছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি বলতে চাই, ওসমান একজন বীর। তাকে বীরের সম্মান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের খুঁজে বের করে ফাঁসির দাবি জানাই। আমাদের দেশের মানুষ সোনার টুকরো চেনে না। যখন হারিয়ে যায়, তখন মনে পড়ে। আগে থাকতেই যদি ওসমানদের নিরাপত্তা দেওয়া হতো, তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না।
ওসমানের প্রতিবেশী হ্যাপী আক্তার বলেন, ওসমান হাদি ভদ্র ও নিরীহ মানুষ ছিল। ওর মধ্যে সবসময় বিপ্লব কাজ করতো। কোন অনিয়ম দেখলে তা সহ্য করতে পারত না। যখনই বাড়িতে আসতো, সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতো। ওর বাবাও একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি ছিল ওসমান হাদি। তাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
নলছিটি থানার উপপরিদর্শক মো. শেরজাহান বলেন, ওসমান হাদির বাসা ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। তাঁরা নিজেরাই জানিয়েছেন শুক্রবার সকালে সকলের সঙ্গে দেখা করবেন। আমরা তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।

কে এম সবুজ, ঝালকাঠি