‘ধূমকেতুর মতো এসে বিপ্লবের দাবানল ছড়িয়ে রবের সান্নিধ্যে চলে গেলেন’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ কমপ্লেক্সে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই বিপ্লবী শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে শেষবারের মতো বিদায় জানিয়ে দাফন করা হয়।
শহীদ হাদিকে দ্রোহের প্রতীক বলে সম্বোধন করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মিজানুর রহমান আজহারী লেখেন, দ্রোহের প্রতীক— শহীদ ওসমান হাদির রাজকীয় বিদায়। ধূমকেতুর মতো এলেন। ন্যায় ও ইনসাফের বলিষ্ঠ কণ্ঠ হিসেবে গোটা জনপদে বিপ্লবের দাবানল ছড়িয়ে হঠাৎ রবের সান্নিধ্যে চলে গেলেন। নিশ্চয়ই আসমানে আমার ভাইকে এর চাইতেও বড় রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানোর আয়োজন চলছে।
মিজানুর রহমান আরও লেখেন, জুমার নামাজের পরপরই গুলিবিদ্ধ, আবার পরের জুমার রাতেই শাহাদাত বরণ! পেয়েছেন কোটি মানুষের কান্না মিশ্রিত দুআ। সুবহানাল্লাহ! এ এক পরম সৌভাগ্য!
সবশেষে জনপ্রিয় এই ইসলামীক আলোচক লেখেন, হাদির মতো এমন দেশপ্রেমিক, আধিপত্যবাদবিরোধী ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন তরুণরা-ই আগামীর বাংলাদেশ। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ইনশাআল্লাহ ওসমান হাদি বেঁচে থাকবেন সহস্র মুক্তিকামী মানুষের ভালোবাসায়। অনুপ্রেরণা জোগাবেন প্রজন্ম হতে প্রজন্ম। সাহসের বাতিঘর হয়ে থাকবেন অগণন মানুষের হৃদয়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদক