বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুরো দেশকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

আগামীকাল বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

এরপর খালেদা জিয়াকে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পাশে দাফন করা হবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দলীয়ভাবে জানাজার প্রস্তুতি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শের পর জানানো হবে।

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কেবিনেট বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই বৈঠকে অংশ নিতে যমুনা অবস্থান করছেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিনব্যাপী শোক পালন করবে দলটি। এ সাতদিন গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়, নয়াপল্টনে দলের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের সব কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ সময় নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, এনসিপির আহ্বাবায়ক নাহিদ ইসলাম, এবি পার্টির মুজিবুর রহমান মঞ্জু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।