সিলেটের আন্দোলনরত চা বাগান শ্রমিকদের দৈনিক তিনশত টাকা মজুরির দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তারা ইংরেজ আমল থেকে চা শ্রমিকদের বঞ্চিত হওয়া ও সস্তা শ্রমের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং অতি শিগগিরই তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে একশত বিশ টাকায় একজন মানুষের দিন চলতে পারে না। চা বাগানের মালিক গুটিকয়েক লোক তারা চা শ্রমিকদের জিম্মি করে ধনী হতে চায়। কিন্তু চা শ্রমিকদের জীবন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। আমি চা শ্রমিকদের কাছে দাবি জানাবো, চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিক হিসেবে, ভাই বোন মনে করে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে চা শ্রমিক ভাইদের ঘর ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন। চা শ্রমিক ভাইরা তা আজও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। তাদের বেতন যখন ষাট টাকা ছিল, তা দ্বিগুণ করে দেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করতে পারি, এই সরকার চা শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করবে।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের পনেরো অক্টোবর বাংলাদেশ চা সংসদ (মালিকপক্ষ) এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক চুক্তি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের  'এ' শ্রেণির বাগানের জন্য দৈনিক মজুরি একশ বিশ টাকা, 'বি' শ্রেণির বাগানের জন্য একশ আঠারো টাকা, ‘সি’ শ্রেণির বাগানের জন্য একশ সতের টাকা নির্ধারিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাজার দরের সাথে সংগতি রেখে মালিক পক্ষ ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মজুরি বৃদ্ধির কথা থাকলেও উনিশ মাসে মজুরি বাড়েনি। এ কারণে দৈনিক তিনশত টাকা মজুরির দাবিতে সিলেট বিভাগের সব কয়টি চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে৷