জবি ছাত্র-ছাত্রীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে মদ্যপানের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী হাসান মুনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, মারধর করা হয়েছে—দাবিতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন মুন। এমনকি, ওই ছাত্রী ও তাঁর দুই বান্ধবী মিলে তাঁকে ‘স্লেজিং’ করত বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর দুই বান্ধবী নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন মুন ও ওই ছাত্রী।
ছাত্রী তাঁর অভিযোগ পত্রে বলেন, মেহেদী হাসান মুন ওই নারী শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিলেন। মদ পানের প্রস্তাবও দেন তিনি।
এদিকে, মুনও অভিযোগে জানান, আজ সকালে তাঁকে ক্যাম্পাসের মারধর করা হয়েছে। জুনিয়র মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগ এনে তাঁকে মারধর করা হয়। তিনি প্রশাসনের কাছে এ হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান।
একই সঙ্গে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযোগের বিষয়ে মুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমাকে ওই তিন মেয়ে ম্যাসেঞ্জারে নক্ করত। আমি ক্যাম্পাসে আমাকে দেখলেই তাঁরা নানা ভঙ্গি করে স্লেজিং করত। কিন্তু, আমি আজ মারধরের শিকার হয়ে যখন প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দিতে চাই তখন দেখি ওই মেয়েরাই উল্টো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আজকের অভিযোগপত্র গুলোর বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’