কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১.৩৮ শতাংশ
এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আজ রোববার (১২ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফফলাফল প্রকাশ করেন।
প্রকাশিত ফলাফলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থী।
ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল যুগের শিক্ষার্থীদের মেধা অনেক বেশি। তাদের সেই মেধা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি, ছাত্র কম কেন? সেটি খুঁজে বের করতে হবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, গত দেড় দশকে কারিগরি শিক্ষা, নারী শিক্ষা ও সাক্ষরতার হার বেড়েছে।
প্রকাশিত ফলাফ্ল অনুযায়ী এবার ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
যেভাবে ফল জানা যাবে
পরীক্ষার ফল জানতে সব শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
অন্যদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) অ্যান্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এ ছাড়াও মোবাইলফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এ জন্য ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে SSC <স্পেস> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ : SSC Dha 123456 2024, লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১২ মার্চ শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল তিন হাজার ৭০০টি।