জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়মে পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন জারি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতি কোর্সের মোট নম্বরের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।
রোববার (৯ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ হতে তত্ত্বীয় কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণ এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতির এই পরিবর্তন কার্যকর হবে।
নতুন নিয়মে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরণ ও মূল্যায়ন কাঠামোতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা নিচে দেওয়া হলো—
৪ ক্রেডিট কোর্স : ১২টি প্রশ্নের মধ্যে আটটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৮০, সময় চার ঘণ্টা।
৩ ক্রেডিট কোর্স : ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা।
২ ক্রেডিট কোর্স : ছয়টি প্রশ্নের মধ্যে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা।
প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপপ্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখার বিধান রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিভাজন
প্রতিটি তত্ত্বীয় কোর্সের মোট নম্বরের ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। এই ২০ শতাংশ নম্বর অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ, ক্লাস উপস্থিতি ও ইন-কোর্স পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে—
৪ ক্রেডিট কোর্সে (মোট ২০ নম্বর) : অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে পাঁচ, ক্লাস উপস্থিতিতে পাঁচ এবং ইনকোর্স পরীক্ষায় (দুটি ইন-কোর্সের গড়) ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
৩ ক্রেডিট কোর্সে (মোট ১৫ নম্বর) : অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে চার নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে তিন নম্বর এবং ইনকোর্সে আট নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।
২ ক্রেডিট কোর্সে (মোট ১০ নম্বর) : অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে তিন নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে দুই নম্বর এবং ইন-কোর্সে পাঁচ নম্বর নির্ধারিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)