গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে রির্টানিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

রির্টানিং কর্মকর্তা জানান, খেলাপি ঋণ থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। এ ছাড়া অসম্পূর্ণ কাগজপত্রের কারণে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমান ও আবুল হোসেনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন ফরিদুল ইসলাম।

এদিকে, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি যে প্রতিষ্ঠানের জন্য জামিনদার হয়েছিলেন, সেই প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হওয়ায় তার (জাহাঙ্গীর) মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে তিনি অন্য যেসব কাগজপত্র দাখিল করেছেন, তার সবকিছু সঠিক পাওয়া গেছে। তার আপিল করার সুযোগ ও সময় রয়েছে। তিনি আপিল করলে পরবর্তীতে আপিলের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

মনোনয়ন বাতিলের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যে ঋণখেলাপির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, সেই ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধের বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তারাও নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করেছেন।’

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী জামিনদার কখনো ঋণখেলাপি হয় না। তা ছাড়া খেলাপি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের জন্য ইতোমধ্যে কিস্তির টাকা জমা দিয়েছে এবং আবেদন করেছে। আমি একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমার নিজের জমি বন্ধক রেখেছিলাম। আমি ওই টাকা নিজের জন্য নিইনি এবং প্রতিষ্ঠানটি ঋণের টাকা পরিশোধ করেছে।’ এরপরও মনোনয়ন বাতিল করাকে অগণতান্ত্রিক বলে  আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি কমিশনের কাছে নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার পাইনি। আমি অবশ্যই এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব, প্রয়োজনে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যাব।’