এখন যে আক্ষেপ নিয়ে আল্লাহকে ডাকেন আনোয়ারা

Looks like you've blocked notifications!
বরেণ্য অভিনেত্রী আনোয়ারা। ছবি : এনটিভি অনলাইন

ষাট দশকে ঢাকাই সিনেমায় আগমন ঘটে আনোয়ারা জামালের। নৃত্যশিল্পী হিসেবে অভিষেক, এর পর নায়িকা। সবশেষ আলোচিত হয়েছেন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে। পেয়েছেন আট বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

এমন সময় গেছে ঢাকাই সিনেমার, মায়ের চরিত্রে আনোয়ারা ছাড়া অন্য কাউকে বিকল্প ভাবা যেত না। ঢাকাই সিনেমায় ৫০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সেই আনোয়ারা এই সময় কেমন আছেন?

এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এই বরেণ্য অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে স্বামীকে হারিয়েছেন, সে কারণে সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাঁর। আর কাজের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তিনি এখন আর সিনেমা করেন না।

সেখানেও আছে আক্ষেপের সুর। আনোয়ারার ভাষ্যে সেটা এমন, ‘আমার (মনমতো) চরিত্র না পেলে আমি করব না। আমাদের যত বয়স বাড়বে... তাঁদের জন্যও গল্প আছে। আমাদের এ দেশে সেটা হয় না।’

সেটা কেন হয় না? আনোয়ারা প্রথমে জানেন না বললেও কিছুটা আক্ষেপের সুরে বললেন, ‘লেখকের অভাব না কি প্রযোজকেরা চান না, না কি পরিচালকেরা চান না, সেটা আমি বলতে পারব না। আমার কাছে মনে হয় রাত জেগে জেগে এত পরিশ্রম করে কাজ শিখলাম, তাঁদের জন্য ভুলে যাচ্ছি সব। এখন আল্লাহকে ডাকি, তাঁদের যেন হেদায়াৎ করেন, ভালো ভালো ছবি করেন। চলচ্চিত্রে ছোটবেলা থেকে ছিলাম, সেজন্য একটা মায়া হয়ে আছে।’

দীর্ঘ ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা সিনেমায় আলেয়া চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পাওয়া অভিনেত্রী বলেন, ‘ছোটবেলায় স্নেহ পেয়েছি, বড়বেলায় সম্মান পেয়েছি। আমার তো মনে হয় কিছুই করতে পারিনি।’

মায়ের চরিত্রে আপনি একসময় অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, এখন এই চরিত্রে সেভাবে কেউ সুবিধা করতে পারছেন না। এ কথা বলার পর আনোয়ারার আশার বাণী, ‘পাবেন... একটা সময় পাবেন। আমি একসময় ভাবতাম আমার অবস্থান আমি ছাড়ব না, বিভিন্ন কারণে সেই স্থান ছাড়তে হয়েছে। সেখানে নতুন কেউ এসে স্থান দখল করে নেবে।’

আনোয়ারা অভিনয়জীবনে সাড়ে ছয়শর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। মঞ্চ নাটক ও টেলিভিশন নাটকেও কাজ করেছেন। একবার সেরা অভিনেত্রীসহ মোট আট বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। সিনেমাগুলো হচ্ছে, গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সুন্দরী (১৯৭৯), সখিনার যুদ্ধ (১৯৮৪), শুভদা (১৯৮৬), মরণের পরে (১৯৯০), রাধা কৃষ্ণ (১৯৯২), বাংলার বধূ (১৯৯৩) ও অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪)।