দেশ ছাড়ার সময় মায়ের মলিন মুখ মনে পড়ে : বেনজীর

Looks like you've blocked notifications!
মডেল-উপস্থাপিকা বেনজীর ইশরাত আঁখি। ছবি : শামছুল হক রিপন

ভূত আছে কি নেই, তা নিয়ে জনধারণায় নানা বিতর্ক আর বিজ্ঞান-অসমর্থিত হলেও মডেল-উপস্থাপিকা বেনজীর ইশরাত আঁখির বিশ্বাস, ভূত আছে। তাঁর মতে, খারাপ মানুষ মাত্রই ভূত।

২০১৭ সালে হঠাৎ করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বেনজীর ইশরাত আঁখি। এরপর উড়াল দেন লন্ডনে। সেখানেই পেতেছেন সংসার। গত ফেব্রুয়ারিতে দুই বছর পর দেশে ফেরেন তিনি। অবশ্য আজ রোববারই তাঁর উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে।

কিছুদিন আগে বেনজীরের সঙ্গে আলাপ হয় এনটিভি অনলাইনের। জানান তাঁর সংসার ও লন্ডন জীবনসহ নানান বিষয়।

দুই বছর পর দেশে ফিরতে পেরে আনন্দের সীমা নেই বেনজীরের। বলেন, এ এক অন্য অনুভূতি। আসার পরপরই অনেকে তাঁর বাসায় কেক ও ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। এ মডেল ভেবেছিলেন, এত দিনে হয়তো মানুষ তাঁকে ভুলেই গেছে। কিন্তু তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখে অবাক হয়েছেন।

পুরো সাক্ষাৎকার দেখুন :

বেনজীর যে দেশে ফিরবেন, তা জানতেন না তাঁর মা। আর এটা তিনি করেছেন মাকে ‘সারপ্রাইজ’ দেওয়ার জন্য। তাঁর ভাষ্যে, ‘মাকে আমি সারপ্রাইজ দিয়েছি। সে জানত না যে আমি বাংলাদেশে এসেছি। তাঁর সেই চেহারাটা, সেই মোমেন্টটা, যখনই আমার মনে পড়ে, খুব ভালো লাগে।’

সংসার জীবন প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভালো যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। সবকিছু মিলিয়ে আসলে ভাবিইনি যে, সংসার-লাইফ আর সবকিছু এত সুন্দর করে ম্যানেজ করতে পারব।’

আগে যেমন মডেলিং ও উপস্থাপনায় ছোটপর্দায় সরব থাকতেন, এখন আর তাঁকে সেভাবে দেখা যাবে না। তবে ভক্তদের নিরাশ করলেন না। বললেন, তিনি উধাও হয়ে যাননি। এখন ব্যস্ত নিজের ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে। সেখানেই ভক্তরা তাঁকে পাবেন।

দেশ ছাড়ার বেদনাদায়ক মুহূর্তও আছে বেনজীরের। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বাংলাদেশ ছেড়ে যাই, এয়ারপোর্টে যখন আমার মায়ের মলিন সেই চেহারাটা দেখি, সেই চেহারাটা আমি কখনো ভুলতে পারব না। এবার যে আমি বাংলাদেশ ছেড়ে যাব, সেই চেহারাটা আমাকে আবার দেখতে হবে। আর এটাই আমি ভয় পাই—মায়ের মলিন মুখটা।’

হাসিমুখে জীবন কাটাতে চান বেনজীর। যত দিন বেঁচে থাকবেন, ক্যামেরার সামনে থাকতে চান। মানুষকে ভালোবাসতে চান। মানুষের ভালোবাসা পেতে চান। তিনি এখন ইউটিউব নিয়ে ব্যস্ত আছেন। বেনজীর বললেন, যেসব ভক্ত তাঁকে মিস করেন, তাঁরা যেন ইউটিউব চ্যানেলে ঢুঁ মারেন। বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করবেন। সে সময় দেখা তো হবেই।