পূজায় ফ্যামিলি গেট টুগেদার আমার বড় উৎসব : চঞ্চল

পূজা মানেই উৎসব, কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, প্রিয়জনের সঙ্গে ঘোরাঘুরি—সব মিলিয়ে পাঁচ দিনের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। বছর ঘুরে আবার এসেছে দুর্গাপূজা। এবারের পূজায় আপনার পছন্দের তারকারা কীভাবে সময় পার করছেন, তাঁদের পূজার রুটিন কি আপনার-আমার মতোই? তা জানার চেষ্টা করেছে এনটিভি অনলাইন।
তারকাদের পূজা নিয়ে এনটিভি অনলাইনের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ কথা বলেছেন ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী থাকাকালে ‘আরণ্যক’ নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে।
ছোটবেলায় পূজা
আমাদের গ্রামে (পাবনা, কামারহাট) আগেও যেমন পূজা হতো, এখনো তেমন হয়। সারা গ্রামের যত মানুষজন, যারা গ্রামের বাইরে থাকে, এই পূজার সময় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে গ্রামে ফেরে। বাড়িতে তাদের নিজস্ব আত্মীয়স্বজন আসে। আমাদের গ্রামটা ছোট্ট এবং হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবাই আমরা পূজার আনন্দটা ভোগ করি। এ উপলক্ষে আমাদের গ্রামের একটা স্কুলমাঠে খেলাধুলা, আড্ডা হয়। ছোটবেলায় এ রকমই হতো, বেশি আনন্দ হতো, তখন তো আমাদের আর টেনশন থাকত না। এখন আমরা গার্জিয়ান হয়ে গেছি, এখন তো ওইভাবে... এখন হচ্ছে দায়-দায়িত্ব।

তারকা হওয়ার পর পূজা
এভাবে কখনো চিন্তা করি না। আমি বাড়িতে যাই উৎসব করতে, উৎসবে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। আগেও যে আনন্দ-ইচ্ছে নিয়ে বাড়িতে যেতাম, এখনো সেভাবে যাই। এখন গেলে বাড়িতে অনেক মানুষ আসে দেখার জন্য, এটা হচ্ছে পার্থক্য।
এবারের পূজা
এই বয়সে কি আর পূজা বা উৎসব নিয়ে পরিকল্পনা থাকে? এখন উপলক্ষে বাড়িতে যাচ্ছি, ফ্যামিলি গেট টুগেদার এটাই... আমার প্ল্যানটা হচ্ছে, বাড়িতে যাওয়ার জন্য একটু সময় বের করি, আত্মীয়স্বজন, বাবা-মা, ভাইবোন একসঙ্গে মিলি; এটাই আমার বড় উৎসব। এই উৎসবটা কেন্দ্র করে আমার বড় উৎসব হচ্ছে, ফ্যামিলি গেট টুগেদার বা অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়।
পূজার কেনাকাটা
বাচ্চাকাচ্চা আর ফ্যামিলির অন্য যারা আছে, তারা কেনাকাটা করে। আমার পক্ষে কি আর কেনাকাটা করা সম্ভব? করোনার কারণে এবার ওভাবে কেনাকাটাও করা হয়নি।
পূজায় সেরা উপহার
উপহার আমি আমার মতো করে আমার ভাইবোনদের দিই, তারা আমাকে দেয়। এর মধ্যে সেরা অ-সেরার কিছু নেই।
ঘোরাঘুরি
বাড়িতেই থাকব। আর গ্রামের মধ্যে যে মণ্ডপগুলো আছে, ওগুলোতে যাই; একবার করে ঘুরে আসি।
মজার স্মৃতি
ছোটবেলায় অনেক মজা করতাম, খেলাধুলা হতো। ওই যে বললাম, পূজার ছুটিতে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবাই গ্রামে আসে। খেলাধুলা-আড্ডা, এটাই মজার স্মৃতি।