মামার বাড়ি গেলে ঠাকুর দেখতে এসে আমাকেও দেখে : মিম

পূজা মানেই উৎসব, কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, প্রিয়জনের সঙ্গে ঘোরাঘুরি; সবমিলিয়ে পাঁচ দিনের বাধহীন উচ্ছ্বাস। বছর ঘুরে আবার এসেছে দুর্গাপূজা। এবারের পূজায় আপনার পছন্দের তারকারা কীভাবে সময় পার করবেন, তাঁদের পূজার রুটিন কি আপনার-আমার মতোই? তা জানার চেষ্টা করেছে এনটিভি অনলাইন।
তারকাদের পূজা নিয়ে এনটিভি অনলাইনের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ কথা বলেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে।
ছোটবেলায় পূজা
ছোটবেলায় পূজাটা আসলে অনেক বেশি মজার ছিল। আমরা যেখানে থাকতাম, বাসা থেকে মন্দির পর্যন্ত প্রচুর লাইটিং থাকত। তারপর ছোটবেলায় প্রায় প্রতিদিনই মণ্ডপে গিয়ে বসে থাকতাম। তারপর দৌড়াদৌড়ি করতাম বাচ্চাদের সঙ্গে, মেলায় জিনিস কিনতাম। এই জিনিসগুলো করতে পারতাম।

তারকা হওয়ার পর পূজা
আগের মতো তো আর সবকিছু হয় না, সম্ভবও না। এখনকারটার আবার অন্যরকম মজা। যেমন—মামার বাড়িতে যদি যাই, ঠাকুর দেখতে সবাই আসে; দেখা যায়, ঠাকুর দেখতে এসে আমাকেও দেখে। আমাদের বাড়িতে হাজার হাজার মানুষ আসে আমাকে দেখতে, ডেফিনেটলি এটা এক ধরনের দোয়া অথবা ভালোবাসা। এটা ভালো লাগে।
এবারের পূজা
করোনার জন্য ওভাবে পরিকল্পনা করিনি। বাসাতেই থাকব, আর খুব বেশি হলে পরিবারের সঙ্গে একদিন বের হব। এর বেশি আর কোনো প্ল্যান করিনি। এবার আসলে আমার মামার বাড়িতে (বাঘা, রাজশাহী) যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু আমাদের বাড়ির দেয়াল পুরাতন হয়ে ভেঙে গেছে। কিন্তু কিছু মানুষ ঠিক করতে দিচ্ছিল না। এ কারণেই পসিবল হচ্ছে না, না হলে মামার বাড়িতে প্ল্যান ছিল। অল টাইম আমি যাই, এই একটা কারণে আমি যাচ্ছি না। ওই যে বললাম, গেলে প্রচুর মানুষ হয়, ফর সেফটি...
পূজার কেনাকাটা
এবারই প্রথমবার আমি নিজে থেকে কিছু কিনিনি। এবার আসলে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক গিফট পেয়েছি। বিভিন্ন ড্রেস কিংবা শাড়ির বিভিন্ন পেজ থেকে ওরা পূজার জন্য প্রচুর গিফট পাঠিয়েছে। ওই গিফট আমি নিজে কিনলে যা হয়, তার চেয়ে বেশি এবার। এ পর্যন্ত প্রায় ২০টির বেশি শাড়ি-জামাকাপড় পেয়েছি। আমি বাবা, মা ও আত্মীয়দের গিফট দিয়েছি।

পূজায় সেরা উপহার
স্পেশালভাবে ওভাবে কিছু নেওয়া হয় না। পূজায় আসলে জামাকাপড় নেওয়া হয়। এসবই আসলে সব সময় নিয়েছি। অন্য কিছু ওভাবে কিনিনি কখনো। পূজা মানে জামাকাপড় কেনা, এটাই আসলে মজার ছিল।
ঘোরাঘুরি
এবার আসলে ওভাবে কোনো মণ্ডপেই যাব না। বাসার আশেপাশে যদি কোথাও পূজা হয়, তবে ঘুরে আসব। এখনো জানি না কোথায় যাব, এটা নির্ভর করছে সিচুয়েশনের ওপরে, কোনটা সেইফ...
ঘোরার সঙ্গী
পরিবারের সঙ্গেই যাই।
মজার স্মৃতি
আমার মামার বাড়িতে বাসা থেকে মণ্ডপ পর্যন্ত প্রচুর মেলা বসে। আর একটা হচ্ছে, আমাদের এখানে নৌকাবাইচ হয়। আগে নৌকা নিয়ে যেটা হয়, ওখানে যেতাম। এখন যাই না গত এক-দুই বছর, কারণ আমি যদি যাই প্রচুর ভিড় হয়। কিন্তু ওটায় প্রচুর মজা হতো, আগে সাত পাক ঘুরত, তারপর বির্সজন দিত।